মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে দুই বিচারক ও তদন্ত কর্মকর্তার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আবারও আদালতে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের কাজলের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে বিচারকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, বিচারকরা প্রশিক্ষণে থাকার কারণে ওই দিন যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
পরে আদালত তাদের পুনরায় ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই।
বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারক। ওই দিন পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত গত ২ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরিমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়। গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।